যশোর সদর উপজেলার বসুন্দিয়ার জঙ্গলবাধাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গত ১৯ আগস্ট শুক্রবার গভীর রাতে স্কুলের গ্রিল ও ভেন্টিলেটর ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে তিনটি কক্ষের তালা ভেঙে চুরি সংঘটিত হয়েছে।

জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এই প্রথম চুরির ঘটনা ঘটেছে। বেশ কয়েক বছর যাবৎ প্রায় প্রতিবছরই জঙ্গলবাধাল মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবনের দেয়াল, দরজা ও তালা ভেঙে বারবার চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটে আসছে।

কিন্তু পাশাপাশি অবস্থিত সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টিতে এই প্রথম দুঃসাহসিক চুরি সংঘটিত হলো। এলাকা বাসীর অভিযোগ দুটি স্কুলেই নৈশপ্রহরী থাকা সত্ত্বেও প্রতিনিয়ত এমন চুরির ঘটনার অভিযোগ হলেও অজ্ঞাত কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়।

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে একাধিক বার চুরির ঘটনায় কোনো জোরালো পদক্ষেপ না নেয়ায় এবার পাশের ভবন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চুরি সংঘটিত হয়েছে। এর আগের অভিযোগেও নৈশপ্রহরী কে পাশ কাটিয়ে চুরির অভিযোগ হলেও এবারো তার ব্যতিক্রম হয়নি।

চুরির ঘটনায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নবিরুল ইসলাম কোতোয়ালি মডেল থানায় অজ্ঞাত চোরদের বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। লোহার গ্রিল, তালা ও আলমারি ভেঙে দুটি প্রজেক্টর চুরি করে নিয়ে গেছে বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।

প্রধান শিক্ষক নবিরুল ইসলাম জানান গত ১৯ আগস্ট যথারীতি বিকাল ৩ঃ৩০ মিনিটের সময় স্কুল বন্ধ করে তিনি বাসায় চলে যান। পরেরদিন ২০ আগস্ট সকাল ৮ঃ৩০ টার সময় স্কুলের সহকারী শিক্ষক মোঃ ফসিয়ার রহমান মোবাইল ফোনে স্কুলের তালা ভেঙে চুরি হওয়ার কথা জানালে তিনি দ্রুত স্কুলে পৌঁছান। তারপর বসুন্দিয়া পুলিশ ক্যাম্প কে অবহিত করলে ক্যাম্প ইনচার্জ স্কুলে উপস্থিত হয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন ।

সরেজমিনে দেখা যায় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনের অফিস কক্ষের উপরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ফেলা হয়েছে, নতুন ভবনের বারান্দার গ্রিলের দুটি শিক ভাঙ্গা হয়েছে, তিনটি কক্ষের দরজার তালা ও আলমারির তালা ভেঙে ফেলা হয়েছে।

প্রয়োজনীয় কাগজ ও খাতা পত্র কক্ষের মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলা হয়েছে এবং দুইটি প্রজেক্টর চুরি করে নিয়ে গেছে। সবকিছু এলোমেলো করা হয়েছে বিদ্যালয়ের সভাপতি প্রশান্ত কুমার দেবনাথ ও সরকারি শিক্ষক শিক্ষিকাদের পরামর্শে তিনি নিজে বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা চোর বা চোরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তিনি বলেন এই দুঃসাহসিক চুরির ঘটনা এই বিদ্যালয়ে এই প্রথমবার ঘটেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চোরদের দ্রুত গ্রেপ্তার করবেন এবং চুরি যাওয়া মালামাল দ্রুত ফিরে পাবেন এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। প্রধান শিক্ষক আশঙ্কা করে বলেন পার্শ্ববর্তী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মতো প্রায় প্রতিবছরই যেন চুরির ঘটনা না ঘটে। তিনি চোরদের গ্রেপ্তার করতে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছেন।